রুপালী খাতুন
বয়ানদাতার নামঃ কছিমুদ্দিন (স্বামী)
পরিবারের সদস্যঃ রুবেল (ছেলে, ১৩, মৃত)
মা-বাবার ২ ছেলে ও ২ মেয়ের মধ্যে সে ছিল দ্বিতীয় সন্তান, বড়জোর ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে, স্কুলের নাম জানা যায়নি। ২০০০ সালের দিকে কছিমুদ্দিনের সাথে বিয়ে হয়। স্বামী এস-২১ নামে এক গার্মেন্টসে কাজ করতো, কিন্তু একজনের আয়ে তো সংসার চলে না, তাই ২০১১ সালে রুপালী ঢাকায় চলে আসে, কছিমুদ্দিনের মামাতো ভাই (সালাম) এর মাধ্যমে গার্মেন্টসে কাজ নেয়। তাজরীনে মাত্র ৭ মাস কাজ করেছিল, স্বামীসহ তাজরীনের কাছেই বুড়িপাড়ায় আশরাফ সাহেবের বাসায় ভাড়া থাকতো।
ঘটনার দিন, কছিমুদ্দিন তার গার্মেন্টস কারখানাতে ডিউটিতে ছিল, তার সহকর্মীর কাছে শুনতে পাই যে তাজরীনে আগুন লাগছে। খবর শুনে সে তাজরীনের সামনে ছুটে যায়, কিন্তু রুপালীকে কোথাও খুজেঁ পাইনি। পরবর্তীতে ডিএনএ টেষ্ট করে রুপালীর মৃতদেহ সনাক্ত করা হয়, ঢাকার জুরাইন কবরস্থানে তার কবর নম্বর ২৬।
গার্মেন্টসে কর্মরত কোন পরিচিত মানুষের সাথে দেখা হলে তাজরীনের বিচারের সর্বশেষ অবস্থা জিজ্ঞাসা করে, কিন্তু কেউ ভালোভাবে বলতে পারে না। তবে সে অবশ্যই বিচার চাই। ক্ষতিপূরনের টাকা নিয়ে শ্বশুরের সাথে অনেক অশান্তি হয়েছে, কছিমুদ্দিন যে টাকা পেয়েছে তা দিয়ে সে জমি কিনেছে।