আবু শাহীন সাদ্দাম
বয়ানদাতার নামঃ মঞ্জুয়ারা (মা), মনসুর আলী (বাবা), মইনুল (ভাই)
সাদ্দাম রাজেন্দ্রপুর কারিগরি বিদ্যালয়ে ৭ম শ্রেনি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। ২ ভাই ১ বোনের মধ্যে সে ছিল দ্বিতীয়। বাবা কৃষিকাজ করতো, কিন্তু অনেক ধার-দেনা হয়ে যায়, তাই পড়াশুনা ছেড়ে ছেলেরা কাজে ঢুকে পড়ে। সাদ্দাম ২০১০ সালে মামাতো ভাইয়ের মাধ্যমে ঢাকার গার্মেন্টসে কাজ নেয়, জীবনের শেষ ৫ মাস তাজরীনে কাজ করেছিল।
ঘটনার দিন, সাদ্দামের পরিবার গ্রামেই ছিল, এলাকার মানুষের কাছে তাজরীন অগ্নিকান্ডের কথা জানতে পারে। বড় ছেলে মইনুল তৎক্ষনাত ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। মনসুর আলী বারবার সাদ্দামের মোবাইলে ফোন দিয়েছে, রাত ৩-৪টা পর্যন্ত ফোন বেজেছে, কিন্তু কেউ ফোন ধরেনি। মইনুল স্কুলের বারান্দায় সাদ্দামের নিথর শরীর খুঁজে পায়, ওর শরীর, জামা-কাপড় কিছুই পোড়েনি, চিনতে একটুও অসুবিধা হয়নি, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে মারা গিয়েছিল, পরে আগুনের তাপে শরীর সেদ্ধ হয়ে গিয়েছিল বোধ হয়।
কুরবানী ঈদের দিনে বাসায় এসেছিল, সেবারই পরিবারের সাথে সাদ্দামের শেষ দেখ। পরিবার ক্ষতিপূরনের টাকা ঠিকঠাক পেয়েছে, কোন অশান্তি হয়নি। ”টাকা দিয়ে জীবনের ক্ষতিপূরন হয়না কখনো, যতদিন বেচেঁ থাকবো, ততদিন ক্ষত থাকবে, টাকা আমাদের মা-বাবা ডাকবে না।”