রহিমা বেগম
বয়ানদাতার নামঃ সাদেক আলী (স্বামী)
পরিবারের সদস্যঃ হাওয়া, হনুফা, আকিফা ও আরসিনা (মেয়ে)
দুই বোন ও দুই ভাই এর মধ্যে রহিমা ছিল সবার বড়। ব্রাক স্কুলে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়েছিল, এর ২-৩ বছর পরই বিয়ে হয়ে যায়। রহিমার ৪ মেয়ে। সাদেক আলী গ্রামে রাজমিস্ত্রির কাজ করতো, বেশী আয়ের জন্য চাচার পরামর্শে ঢাকায় চলে আসে। ২০০৯ সালের দিকে রহিমা গার্মেন্টসে কাজ নেয়, তাজরীনে ২ বছর কাজ করেছিল, প্রথমে হেলপার, পরে অপারেটর পদে পদন্নোতি হয়। কারখানার কাছেই হুমায়ুনের বাড়ির পাশেই তারা থাকতো।
২৪শে নভেম্বর, বাসা থেকেই সাদেক তাজরীনের আগুন দেখতে পায়, মেয়েকে নিয়ে দৌড়ে কারখানার সামনে চলে আসে। "কারখানার জানালা দিয়ে দাউ-দাউ করে আগুন বের হচ্ছে, আমি দৌড়ে কারখানার ঠিক পাশের আড়াই তোলা বিল্ডিং-এর ছাদে চলে যাই, হাতুড়ি দিয়ে জানালার কাছ ভেঙে ফেলি, আগুনের দমক, ধোয়ার ধাক্কায় আমি মাটিতে পরে যাই। রহিমাকে কোথাও খুঁজে পাওয়া গেলো না। পরেরদিন স্কুলের বারান্দায় রহিমার পরনের কাপড়, গলার চেইন ও নাকফুল দেখে সাদেক লাশ সনাক্ত করে। ২৬শে নভেম্বর গ্রামের কবরস্থানে রহিমাকে দাফন করা হয়।