পলাশ
বয়ানদাতার নামঃ শান্তনা (বোন)
পরিবারের সদস্যঃ রওশান আরা (দাদী), রফিকুল ইসলাম (বাবা), গোলাপী (মা)
পলাশ দুই ভাই-বোনের মধ্যে কনিষ্ঠতম ছিল, বড়জোড় ৫ম শ্রেনি পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। মা, গোলাপী নীট এশিয়া গার্মেন্টসে কাজ করতো, সেই সূত্রে পলাশ ঢাকার গার্মেন্টস কারখানায় কাজ নেয়। ঢাকার যাওয়ার আগে সে রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসাবে কাজ করতো। পলাশ তাজরীনে ৩ বছরের মত কাজ করেছে, শেষ পদ ছিল অপারেটর, বেতন ৫৭০০ টাকা, কারখানার কাছেই নাজিমুদ্দীনের বাড়ীতে মা-বাবার সাথে থাকতো।
পলাশ ২৪শে নভেম্বর দুপুরে বাসায় ভাত খেতে এসেছিল, মায়ের হাতে ৫০০ টাকা দিয়ে বলেছিল, ”নাইট আছে, বাজার করে রান্না করে রেখো।” সেটাই শেষ দেখা। মা নীট এশিয়া গার্মেন্টসের জানালা থেকে তাজরীন এর আগুন দেখতে পায়। অগ্নিকান্ডের সময় পলাশ ফোন করেছিল, ” আমি ৫ তলায় আছি, ধোঁয়ায় ভরে গেছে, আমাকে বাঁচান, আমি বাথরুমে আছি।” অনেক খোঁজা-খুঁজি করেও পলাশকে কোথাও পাওয়া গেলোনা। পরেরদিন স্কুলের বারান্দায় সারি সারি লাশের মধ্যে পরনের শার্ট ও আইডি কার্ড দেখে পলাশকে চিহ্নিত করা হয়।